Header Ads Widget

শাহাবুদ্দিনের সন্তান জানেই না, তার বাবা আর এই পৃথিবীতে নেই


২৫ দিন আগেও শাহাবুদ্দিন হাসিমুখে বলেছিলেন,

“এইবার শুধু কিছুদিনের জন্য যাচ্ছি, তারপর ফিরে আসবো — আমার ছোট্ট মেয়েটা তো দিন গুনছে আমার ফেরার।”

কিন্তু ভাগ্য যে এত নিষ্ঠুর হতে পারে, তা কে জানতো! 😢

আজ ওমানের রাস্তায় ভয়াবহ এক সড়ক দুর্ঘটনা কেড়ে নিলো আটটি প্রাণ।

সেই আটজনের একজন আমাদের শাহাবুদ্দিন।

যে মানুষটি সন্তানকে কোলে নিয়ে হাসার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন,

সে আজ ফিরছে নিথর দেহ হয়ে।

মাত্র ২৫ দিন হলো ওমানে পাড়ি দিয়েছিলেন।

স্বপ্ন ছিল একটু ভালো উপার্জন করে পরিবারের মুখে হাসি ফোটানোর।

কিন্তু বিদেশের মাটিতে তাঁর মন কোনোভাবেই শান্তি পায়নি।

প্রতিদিন ফোনে মেয়ের কণ্ঠ শুনে চোখ ভিজে যেত।

প্রায়ই বলতেন সহকর্মীদের,

“আর কতদিন? সন্তানের মুখ না দেখে থাকতে পারি না। একটু টাকা জমলেই দেশে ফিরব।”

কিন্তু সেই ফেরা আর হলো না।

বিমানবন্দরের সেই পথেই এবার ফিরছেন — তবে কাফনের সাদা চাদরে মোড়া হয়ে।

যে সন্তান বাবার কোলে উঠবে বলে প্রতিদিন অপেক্ষায় ছিল,

সে আজ বাবার ছবি বুকে জড়িয়ে কাঁদছে। 💔

গ্রামের মানুষ স্তব্ধ।

স্ত্রী আর সন্তানদের আহাজারিতে ভরে গেছে আকাশ-বাতাস।

স্বপ্নভাঙা এক সংসারের কান্না ছড়িয়ে পড়েছে চারদিকে।

শাহাবুদ্দিন গিয়েছিলেন পরিবারের জন্য —

কিন্তু ফিরছেন না আর কোনো দিনের আলো দেখতে।

সন্তানের মায়া, ভালোবাসা, প্রতিশ্রুতি — সব ফেলে তিনি পাড়ি জমিয়েছেন এমন এক জগতে,

যেখান থেকে কোনো ফেরার পথ নেই.

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ